বেড়ায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা ভোগান্তির শিকার অর্ধশত পরিবার



পাবনা সংবাদদাতা: বৃষ্টিতে পাবনার বেড়ায় জলাবদ্ধতা,দুর্ভোগ চরমে। হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাতে বেড়া পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা ও বাড়ির উঠান।ভোগান্তির শিকার অর্ধশত পরিবার। প্রতি বছর আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। অনেক স্থানে হাঁটু থেকে কোমর পযন্ত পানি জমে। জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া হয়নি কোনো স্থায়ী পরিকল্পনা। প্রশাসন,রাজনৈতিক দলের নেতা,জনপ্রতিনিধি কেউই এগিয়ে আসেনি। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিভিন্ন মহল্লা ঘুরে দেখা যায়,বৃষ্টিপাতের কারণে সড়ক বসতবাড়ির আঙিনা পানিতে তলিয়ে গিয়েছে।পৌরসভার সানিলা,বনগ্রাম,হাতিগাড়া,সম্ভবপুর ডাকবাংলা,স্যান্ডেলপাড়া,দক্ষিণপাড়া। এসব এলাকার কোনো কোনো সড়কে ৫ থেকে ৭ দিন হাঁটু পযন্ত পানি জমে থাকে। নির্বিঘ্নে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে পারে না। জলাবদ্ধতার শিকার বাসিন্দাদের অভিযোগ,পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার বললেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। প্রতি বছর হালকাও ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। দায় সারাতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে বলা হয় রাস্তা থেকে ঘরবাড়ি নিচু হওয়ায় এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যাক্তি বলেন,রাস্তা তলিয়ে গেছে,ময়লা পানি সব জায়গায়। আগের জনপ্রতিনিধিরা পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো কাজ করেনি। এখন তো মেয়র কাউন্সিলর নেই,বুঝতে পারছি না। এই অসহ্য বেদনার কথা কার কাছে বলি। বৃষ্টিতে বাড়ির আশেপাশে সড়কে পানি। জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে কি ভাবে মুক্তি পাবো আল্লাহ ভালো জানেন। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে বলা হতো আগামী বছর পানি উঠবে না। পানি নেমে গেলে আর কারও কোনো খোঁজ থাকে না। এই অবস্থার উন্নতি চাই। আরও কয়েকজন জানান,জমে থাকা এই পানিতে ময়লা আবর্জনা রয়েছে। দীর্ঘদিন জমে থাকার ফলে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বৃষ্টিতে পানি জমেছে সেই সময়গুলোতে শিশুসহ অনেকে চুলকানি সহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। প্রশাসনের কাছে স্থায়ী ভাবে মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানান তারা। সচেতন ব্যাক্তিদের মন্তব্য,প্রশাসনের পরিকল্পিত নগর গঠনে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় প্রতি বছর জলাবদ্ধতা মানায় না। তারা আরও বলেন, বৃষ্টির পানি গড়ে এসে নির্দিষ্ট একটি স্থানে জমা হয়। জমা হওয়া পানি পরিকল্পনা করে। নদী অথবা বড় জলাশয় দেওয়ার ব্যবস্থা করলে। অনেক পরিবারকে আর জলাবদ্ধতায়,দুর্ভোগে পড়তে হবে না।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমরা কতদিন পর ভুলে যাবো মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা

সাঁথিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা খোকন আটক