মাটির পেয়ালায় ভিন্ন স্বাদের চা আল-আমিনকে করেছে স্বাবলম্বী

 



নিজস্ব সংবাদদাতা:

পাবনা জেলার পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের গাছপাড়া এলাকায় আল-আমিনের চায়ের দোকান। বিভিন্ন নামে ভিন্ন স্বাদের চা বেচে তার মাসে লাখ টাকা আয় হচ্ছে। মাটির পেয়ালায় ভিন্ন স্বাদের চা বেচে জেলায় বেশ সাড়া ফেলেছেন আল-আমিন হোসেন। সেই চা-পান করতে প্রতিদিনই জেলার অনেক স্থান থেকে লোক এসে ভিড় করেন তার দোকানে।এখন তার চা দোকানে কর্মচারী পাঁচজন। মাসিক বেতন ৮ থেকে ১০ হাজার। পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের পাশে শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের দোকানটি এখন চা-প্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিত। এলাকাটি ‘আল-আমিন চত্বর’ নামেই পরিচিত। ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে আল-আমিন। পৈতৃক জায়গায় দোকানটি গড়ে তোলেন তিনি। প্রতিদিনসহ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে উপচেপড়া ভিড় হয়। এখন ১০ থেকে ১৫ ধরনের চা তৈরি হয়। ক্রেতাদের সবচেয়ে পছন্দের চায়ের মধ্যে স্পেশাল মালাই চা, মটকা চা,সর চা, করোনা চা,মসলা চা,তন্দুরি চা,স্পেশাল তন্দুরি চা ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া রং চা, দুধ চা, আদা লবঙ্গ চা, লেবু চা, কমলা চাতো রয়েছেই। চা এবং ঠান্ডা ও গরম দুই ধরনের শরবত এখানে বিক্রি হয়। ১০ টাকা থেকে ৬০ টাকার চা পাওয়া যায়। ফরিদুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন,প্রায় দিনই সন্ধ্যার পর বন্ধুকে সাথে নিয়ে চা খেতে আসি। চা খেতে এসে গরম শরবত টাই বেশির ভাগ খাওয়া হয়। এখানে পরিবেশ টা সুন্দর। মহাসড়কের পাশে বসে চা খাওয়া একটা আলাদা ব্যাপার রয়েছে। মাটির তৈরি খুঁড়িতে চা খেতে অনেক মজা। জানা যায়,আল-আমিন সে নিজেও প্রচুর চা পান করেন। ২০১২ সালের মাঝামাঝিতে ছোট পরিসরে ৮শ টাকা দিয়ে চায়ের দোকানের যাত্রা শুরু করেন। দোকান আর কর্মচারী খরচ বাদ দিয়ে মাসে লাখ টাকার ওপরে আয় হচ্ছে তার। চা বিক্রি করাই এখন তার পেশা।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বেড়ায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা ভোগান্তির শিকার অর্ধশত পরিবার

আমরা কতদিন পর ভুলে যাবো মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা

সাঁথিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা খোকন আটক